ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫২ আসামির বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের সময় পিছিয়েছে।
বৃস্পতিবার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত অস্থায়ী এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ৫ মার্চ আদেশ প্রদানের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
মামলার নথি পর্যালোচনা করতে না পারায় তিনি এ সময় পিছিয়েছেন।
এ মামলায় পলাতক তারেক রহমানের আইনজীবী হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খানকে নিয়োগের ব্যাপারে ওইদিন আদেশ দেওয়া হবে।
গত সাড়ে ৫ মাসে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে ৩১টি ধার্য তারিখে শুনানি গ্রহণ করা হয়। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে প্রথম শুনানি শুরু হয়েছিল।
এ মামালার উল্লেখ্যযোগ্য অন্যান্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বর্তমান বিএনপির এমপি কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি দলীয় ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ, হানিফ এন্টার প্রাইজের মালিক মো. হানিফ, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এর সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিম, রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সবেক ডিসি পূর্ব মো. ওবায়দুর রহমান, সবেক ডিবি দক্ষিণ খান সাইদ হাসান, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, মামলাটির সাবেক ৩ তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ, তৎকালীন অতিরিক্ত আইজিপি পরবর্তীতে আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, মেজর (অব.) এটিএম আমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ জুলাই সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অতিরিক্ত আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক চার্জশিট প্রদান করেন।
আগের চার্জশিটে আসামি সংখ্যা ছিল ২২ জন। সম্পূরক চার্জশিটসহ বর্তমানে এ মামলার আসামি ৫২ জন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন।
সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক ৩টি এজাহার দায়ের করেন।
Discussion
Comments are closed.