অন্যান্য খবর

অন্য এক প্রেম কাহিনী:প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে বিজয়ালক্ষ্মী বিয়ে করেছেন গাড়িচালক ডেভিডকে।

ডেস্ক রিপোট : ডেভিড-বিজয়ালক্ষ্মীর প্রেম কাহিনী চলচ্চিত্রের গল্পকেও হার মানিয়েছে। প্রেমের পৌরাণিক উপাখ্যানের মতোই আবেগে ঠাসা তাদের ভালবাসা। ধর্মের ভিন্নতা, সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক অবস্থা কোন কিছুই তাদের ভালবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সব বাধাকেই তুচ্ছ করে ভালবাসাকে পূর্ণতা দিয়েছেন ভারতের এই জুটি। প্রযুক্তিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে লোভনীয় বেতনে চাকরি করেও বিজয়ালক্ষ্মী বিয়ে করেছেন হাইস্কুলের গণ্ডি পার না করা সামান্য গাড়িচালক ডেভিডকে। তবে তাদের প্রেম-বিয়ে কোনটাই ঝামেলামুক্ত ছিল না। তাদেরকে পাড়ি দিতে হয়েছে বন্ধুর পথ। বিশেষ করে হিন্দু বিজয়ালক্ষ্মীর পরিবার খ্রিস্টান ডেভিডের সঙ্গে তার সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। ফলে তাদেরকে থানা পুলিশ পর্যন্ত করতে হয়। সেই ঘটনা তাদের মুখ থেকেই শোনা যাক। প্রেমিক ডেভিড বলেন, আমি চেন্নাইয়ের একটি কোম্পানির গাড়িচালকের চাকরি করাকালে বিজয়ালক্ষ্মীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয়। সে তখন এ কোম্পানির সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতো। আমি তাকে আমার গাড়িতে করে প্রতি রাতে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতাম। এভাবে দু’বছর কেটে যায়। এ সময়ে আমরা বন্ধুর মতো গল্প করতাম। ডেভিড বলেন, আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়লেও তার লোভনীয় বেতনের চাকরির কারণে আমি তাকে ভালবাসার কথা বলার সাহস পাইনি। কারণ আমি সামান্য এক গাড়িচালক ছিলাম। কিন্তু বিজয়ালক্ষ্মীকে আমি এক রাতে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার সময় সে আমাকে ভালবাসার কথা জানায়। এই অবস্থায় আমাদের এক বছর কেটে যায়। আমি তখনও বিজয়ালক্ষ্মীকে গাড়ির পিছনের সিটে বসিয়ে যাত্রীর মতোই আনা- নেয়া করতাম। এমন কি তার হাতও স্পর্শ করিনি। কিন্তু ২০০৪ সালে এসে এই জুটি তাদের পরিবারকে তাদের সম্পর্কের কথা জানান। বিজয়ালক্ষ্মীর পরিবার খুব শক্তভাবে তাদের বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি ওঠায়। ফলে ২০০৫ সালে ট্রেনে করে এই জুটি মুম্বইয়ে পালিয়ে যান এবং আদালতের মাধ্যমে একে অপরকে বিয়ে করেন। ডেভিড-বিজয়ালক্ষ্মী পালিয়ে গেলে বিজয়ালক্ষ্মীর বাবা থানায় অপহরণ মামলা করেন। পুলিশ ডেভিডের ভাইকে আটক করলে বিজয়ালক্ষ্মী থানায় চিঠি লিখলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু বিজয়ালক্ষ্মীর বাবা দুই পুলিশকে নিয়ে মুম্বইয়ে তার মেয়েকে ফিরিয়ে নিতে যান। বিজয়ালক্ষ্মী তার বাবার সঙ্গে যেতে অস্বীকার করলে তিনি ফিরে যান। বর্তমানে এই জুটির ঘরে এক ছেলে জন্ম নিয়েছে। বিজয়ালক্ষ্মী চেন্নাইয়ের এক ব্যাংকে কর্মরত আছেন। ডেভিড এরই মধ্যে ৩টি গাড়ি কিনেছেন। এসব ভাড়া দিয়ে জীবনযাপন করেন তারা।

About EUROBDNEWS.COM

Popular Online Newspaper

Discussion

Comments are closed.